আমরা যারা আনন্দবাহক,
ভালোবাসা দিবস এলেই তাদের খুঁজতে হয় তারকা দম্পতিদের। পর্দায় যাদের আমরা দেখি
তাদের দাম্পত্য জীবন প্রেম পরিণয় কেমন চলছে তা জানতে যে পাঠকের আগ্রহ সীমাহীন।
তেমনই এক দম্পতি তাহাসান-মিথিলা। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তারা দুজন। আজ ভালোবাসা
দিবস উপলক্ষ্যে প্রিয়.কমের পক্ষ থেকে তাহসানের সঙ্গে কথা বলে তাদের দুজনের
ভালোবাসার গল্প জানাচ্ছেন মুষান্না ইমি।
২০০৪ সালে মিথিলার এক বন্ধু এসে বাসায় হাজির। সে
তার ছোট ভাইয়ের জন্য অটোগ্রাফ নিতে তাহসানের বাসায় যাবার জন্য জেদ করে। তখন
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অধিকাংশ মেয়েই তাহসানের জন্য পাগল ছিল। মিথিলাও তাহসানের গান
ততদিনে শুনেছেন। তবে বাসায় গিয়ে তাহসানের অটোগ্রাফ নেয়ার মতো ভক্ত মিথিলা ছিলেন
না। সে যাই হোক, বন্ধুর পীড়াপীড়িতে অগত্যা মিথিলাই প্রথম গেলেন তাহসানের বাসায়।
মাত্র ২০ মিনিটের পরিচয় ও কথোপকথন। এরপর একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া। যাকে সহজ
অর্থে বলা যায় প্রেমের বন্ধন।
এবারের পহেলা ফাগুন বা ভালোবাসা দিবসের কথা
জানতে গেলে তাহসান প্রিয়.কমকে বলেন, ভালোবাসা দিবস বা ফাগুন কোনোটাকে স্পেশালভাবে
দেখিনা। তবে ভালোবাসা দিবসে তিনটি কনসার্ট আছে। গান শোনাবো শ্রোতাদের। গ্রামীনফোন,
ওয়েস্টিন হোটেল ও আরটিভিতে থাকছি আমি।
আর এখন তাদের কন্যা সন্তান সন্তান আইরাকে সময়
দেন মিথিলা ও তাহসান জুটি। ভালোবাসাটা নিজের সন্তানের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন তারা।
তাই বলে কি মিথিলার জন্য ভালোবাসার দিনে কোনো পরিকল্পনা নেই। এই প্রশ্ন শুনে
তাহসান আবারো বলেন, আমার কাছে বছরের সবগুলো দিনই মনে হয় স্পেশাল। আর আমি ও মিথিলা
বছরের সবদিনই ভালোবাসার দিনের মত কাটাতে চেষ্টা করি। এটা নিয়ে দুজনের মধ্যে আর
খুনসুঁটি হয় না। এখন আর সেই বয়স নেই। তবে সারাদিন ভালোভাবেই সময় কাটে আমাদের।’
তাহসান আরো জানান, বিয়ের আগে এক রকম, বিয়ের পর
এবং সন্তান হবার পর আমাদের জীবনে অন্যরকম ভালোবাসাবোধ জন্মায়। বাবা-মা হবার পর
অন্য রকম খুশিতে বা আনন্দে দিন কাটে তাদের।
বর্তমান সময়ে কোনো সম্পর্ক কেনো এত দ্রুত ভেঙ্গে
যায় সেটার ব্যাখা হয়তো তাহসান-মিথিলা জুটির কাছে নেই। তবে প্রেমের পরিণতি এখন
সহজ। কারণ এখন অনেক পরিবার থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক মেনে নেয় বাবা-মা। তাই হুট করেই
ভালোবাসার সম্পর্ক নষ্ট না করে নিজেদের ভুল শোধরানোর পরামর্শও তিনি দিয়েছেন।
আর
ভালোবাসা দিবসে কনসার্টে যাওয়ার আগে বা বাসা ফিরে নিজেদের পরিবারের মধ্যেই সময় কাটাতে
চান মিথিলা ও তাহসান। কারণ সবশেষে তাহাসান বলেন, দেশের যে অবস্থা এখন আর বাইরে কোথায়
যাবো। চারদিকে এত আগুণ ও হাঙ্গামা দেখে বাইরে যেতে ইচ্ছে করে না।

0 comments: