মিডিয়া জগতে সারিকার উপস্থিতি বরাবরই ছিল প্রবল। কাজের জন্য তো বটেই, কিন্তু তার চাইতে অনেক বেশী বিতর্কিত হয়েছে তার সৌন্দর্য ও প্রেমের গুঞ্জনের কারণে। ব্যক্তিগত জীবনের প্রেম নিয়ে বারবার খবরের শিরোনামে পরিণত হয়েছে সারিকা। তবে সে যাই হোক, অবশেষে মাহিম করিমের হাত ধরে কিছুদিন আগেই সংসারী হন তিনি। বিয়ের সময় অনেকেই বলেছিলেন- এই সংসারের আয়ু বড়জোর কয়েক মাস! কিন্তু আসলে কি তাই? কিন্তু দেখতে দেখতে পেরিয়ে যেতে চলেছে প্রায় ৩ মাস। এখন কেমন আছেন সারিকা-মাহিম দম্পতি? চলুন ঘুরে আসি মাহিম-সারিকার মিষ্টি সংসার থেকে, জেনে নেই তাঁদের মুখ থেকে কিছু অজানা সত্য।
বিয়ের প্রায় ৩ মাস পার হবার পথে হলেও এখনো শাশুড়ির কাছে নতুন বউয়ের মতই আদরে সময় পারছেন সারিকা। আপাতত কাচজ কিছু করছেন না, প্ল্যানিং চলছে বিবাহত্তোর সংবর্ধনার। তারপর হানিমুন, এবমগ তারপরেই কাজে ফেরা। তবে কাজটাও খুব কম আর বেছে বেছে করবেন তিনি।
সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সারিকা বলেন, 'এখন আমার কাছে সবার আগে সংসার। স্বামী সংসার নিয়ে সুখে থাকতে চাই। সুখটা আমার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বদনামের ভাগীদার হতে চাই না। অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে মাহিমকে বিয়ে করেছি। আল্লাহ যেন আমার সেই স্বপ্ন আশা পূরণ করেন।'
৮ বছর আগে বান্ধবী সুমাইয়ার একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে হোটেল ওয়েস্টিনে মাহিমের সঙ্গে সারিকার পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব। গত বছরের ২২ নভেম্বর মাহিম সারিকাকে ভালোবাসার আহ্বান জানালে সারিকা তাতে সাড়া দেন। এর ঠিক কয়েক মাস পর, অর্থাৎ মার্চ মাসে মাহিম সারিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ভাবতে ভাবতেই যেন চার মাসেরও বেশি সময় চলে যায় সারিকার। এরই মধ্যে সারিকা মাহিমের মাঝে নিজেরই কার্বন কপি খুঁজে পান। দুজনের ভালো লাগা, মন্দ লাগা, পছন্দ-অপছন্দ, মন মানসিকতা সবকিছুতেই যেন সারিকা নিজেকেই খুঁজে পান মাহিমের মাঝে। ছেলেটিকে মনের গভীর থেকে ভালোবাসতে শুরু করেন। মাহিম যেন সারিকার কাছে হয়ে উঠেন আমার একটা তুমি। ১২ আগস্ট ভালোবেসে বিয়ে করে সারিকা-মাহিম হয়ে যান আজীবনের জন্য একে অন্যের।
সারিকাকে পেয়ে মাহিমও বেশ সন্তুষ্ট। বলেছেন, 'আমার জীবনের রানী সারিকা। তাকে আমি, আমার পরিবারের সবাই আজীবন রানী করে রাখতে চাই। সারিকা এবং আমার মধ্যে এ অল্প কদিনেই বোঝাপড়াটা এতই চমৎকার, তার চোখ দেখেই বুঝে নিতে পারি যে সে কী চাচ্ছে। পরিবারের সবচেয়ে ছোট সন্তান আমি। তাই ছোট সন্তানের বউ হিসেবেও সারিকা আমার পরিবারে সবচেয়ে আদরেই থাকবে আজীবন।' সাথে তিনি আরও বলেন, 'সারিকা একজন শিল্পী, তাই তার শিল্পী হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকে যে কাজ করতে চায় তা করতে পারবে। তার ক্যারিয়ারে আমি কোনোরকম বাধা হয়ে থাকতে চাই না। কারণ আমি মনে করি সে ম্যাচিউরড একজন মেয়ে। তার ভালোটা সে বুঝবেই। আমি সবসময় ছায়ার মতো তার পাশেই থাকব।'
অন্যদিকে এমন স্বামী পেয়ে সারিকাও নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবতী মনে করেন। মাহিম সম্পর্কে সারিকা বলেন, 'যখনই বুঝেছি আমার জীবনের জন্য যে মানুষটিকে এতদিন খুঁজেছি, মাহিমই সে মানুষ। তাই যখন বিষয়টি উপলব্ধি করেছি, তখনই জীবনের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে নিয়েছি। মাহিম আমাকে ভীষণ ভালোবাসে। তাকে আমার জীবনে পেয়ে সত্যিই আমি সুখী। পারিবারিকভাবে বিয়ে করলেও আসছে জানুয়ারিতে বিবাহোত্তর সংবর্ধনাটা সেরে ফেলতে চান দুজনে। এরপর হানিমুনের ছুটি। হানিমুনটা কোথায় করছেন? জবাবে সারিকা বলেন, ইচ্ছে আছে ইউরোপের কোন দেশে। দেখা যাক কী হয়। তবে এরই মধ্যে সারিকা সিলেটের চা বাগান অধ্যুষিত এলাকাও ঘুরে এসেছেন স্বামীকে নিয়ে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিয়ের এক মাস উদযাপন করতেই আসলে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বেশ ভালো সময় কেটেছে।'

0 comments: