
এক বাক্যে সকলে চেনেন তাঁকে। কেবল
দেশে নয়, দেশের বাইরেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
হ্যাঁ, আর কেউ নন, কথা হচ্ছে জনপ্রিয় মডেল
তারকা নায়লা নাঈমকে নিয়ে। নিয়ে অসাধারণ
শরীরী সৌন্দর্য দিয়ে তিনি মাত্র করেছেন সকলের
হৃদয়। পণ্যের মডেলিং থেকে শুরু করে চিনেমায়
আইটেম গান ও বিজ্ঞাপন চিত্রেও
দেখা মিলছে তাঁর। অথচ শুনতে পাওয়া যায়, আজকের
এই রূপসী তারকা নাকি একসময় সাজগোজ দূরে থাক,
লিপ্সটিকও ব্যবহার করতেন না!
তাহলে এমন কী হলো যে চলে এলেন মডেলিং-এ?
কীভাবে মডেলিং-এর এই ঝলমলে দুনিয়ায় এলেন
নায়লা, কীভাবে রাতারাতি পেলেন জনপ্রিয়তা?
নায়লার সেই অজানা কথা গুলো জেনে নিন এই
ফিচারে।
২০১৪ সালের ৭ জানুয়ারি নায়লা নাঈম
ফেসবুকে ফ্যান পেইজ খোলেন। প্রথম
পোস্টে নিজের একটি ছবি আপলোডের ১৬ ঘণ্টার
মধ্যেই নায়লা হিট! পেইজের মেম্বার দাঁড়ায় ২৩
হাজার। এরপর দিন যায়, ৩৬৫ দিনে মেম্বার তিন
লাখ পেরোয়। ফলোয়ারস এখন প্রায় ৯০ লাখ। পেইজ
ভেরিফায়েডের জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ
হতে হয়; কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষই তাঁর
সঙ্গে যোগাযোগ করে পেইজ ভেরিফায়েড
করে দেয়। এখন পর্যন্ত নায়লা নাঈমের
একটা ছবিতে সর্বোচ্চ লাইক পড়েছে ৩৪ হাজার।
কিন্তু কীভাবে মডেলিং-এর এই
রূপালি জগতে এলেন নায়লা, সেটা জানেন কি?
এই তো সেদিনও নায়লা মেকআপ দূরে থাক,
ঠোঁটে লিপস্টিক পর্যন্ত দিতেন না। বন্ধুরা বলত
আনস্মার্ট। বছর পাঁচেক আগের কথা। মিরর
ম্যাগাজিনের 'গ্রুমিং ফটো'র
একটি বিজ্ঞাপনে চোখ যায় নায়লার। গ্রুমিংয়ের
জন্য ফটো আহ্বান করা হয়েছে।
আনকোরা নায়লা কৌতূহলে নিজের কয়েকটি শখের
বশে তোলা ফটো জমা দেন। তাঁকে অবাক
করে দিয়ে সেখানে তাঁর ডাক পড়ে।
প্রাথমিকভাবে ৩০০ জনকে ডাকা হয়। নায়লা নাঈম
তাদের মধ্যে একজন। এরপর র্যাম্প হাঁটার পর ৫০
জনকে বাছাই করা হয়। সেখানেও
নায়লা নির্বাচিত হন। চূড়ান্ত ৩০ জনের মধ্যেও
নায়লা থেকে যান।
কিন্তু ছোট্ট একটি দুর্ঘটনা নায়লার
স্বপ্নকে থামিয়ে দেয়। তার ফোন হারিয়ে যায়!
সেই ফোনে যাবতীয় নম্বর ও তথ্য ছিল। সব
হারিয়ে নায়লা নিজেকে প্রায় আড়াল
করে ফেলেন। কিন্তু ভাগ্য প্রসন্ন! মাস চারেক পরের
ঘটনা, একদিন দেখা হয়ে যায় সেই
পুরনো গ্রুমিং মডেলের একজনের সঙ্গে।
তিনি নায়লাকে পুনরায় কিছু ছবি তুলতে বলেন।
যেতে পরামর্শ দেন ফটোগ্রাফার রফিকের কাছে।
ফটোগ্রাফার রফিক নায়লাকে দেখেই বুঝে ফেলেন
এর দ্বারাই হবে। রফিক বেশ কিছু ছবি তোলেন।
নায়লা সেই ছবি জমা দেন 'প্যান্টিন ইউ গট দ্য লুক'-এ।
সেখানে তিনি শীর্ষ পাঁচে ছিলেন।
এতদিন নায়লা সাহসী ছবি তুললেও সেগুলো ছিল
সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে। নায়লার মিডিয়ার
ক্যারিয়ার পাঁচ বছরের হলেও গত বছরের
জানুয়ারিতে নতুনভাবে আলোচনায় আসেন। আর
আলোচনা-সমালোচনা নায়লাকে এনে দেয় অনন্য
খ্যাতি। তিনি ২০১৪ সালের গুগল সার্চে শীর্ষ
বাংলাদেশি তারকা নির্বাচিত হন।
ব্যক্তিগত জীবনে নায়লা নাঈম একজন ডেন্টিস্ট।
এবং সেটাকেই তিনি তাঁর মূল পেশা মনে করেন।
তরতর করে এগিয়ে চলেছে নায়লার ক্যারিয়ার।
SHARE THIS
0 comments: