অমিতাভ বচ্চন এবং রেখার অসমাপ্ত প্রেমকাহিনী বলিউডের আলোচিত প্রেম কাহিনীগুলোর একটি যেটাকে ঘিরে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। লোক সম্মুখে অমিতাভ-রেখার আচরণ, জয়ার সাথে রেখার দূরত্ব সব মিলিয়ে অত্যন্ত রহস্যজনক প্রেম কাহিনীগুলোর মধ্যে এটি একটি। অমিতাভ বচ্চন আর রেখা এই দুই বলিউডের জীবন্ত কিংবদন্তীর মধ্যকার প্রেমের সম্পর্কটির শুরুই বা কিভাবে আর শেষটাই বা কেমন নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে? পাঠকদের কৌতূহলের কথা মাথায় রেখেই প্রিয়.কমের পক্ষ থেকে এবার বলিউডের দুই জনপ্রিয় তারকার প্রেমের অজানা অধ্যায়টি তুলে ধরা হল।
১৯৭৬ সালে ‘দো আনজানে’ সিনেমায় কাজ করার সুবাদে এই দুই তারকার মধ্যে গভীর সম্পর্কের শুরু হয়। জানা যায় সেই সময়ে রেখার খুব কাছের এক বান্ধবীর বাংলোতে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যেতেন অমিতাভ বচ্চন। এভাবে দুবছর কাটিয়ে দেন এই কপোত-কপোতী। তবে এ খবর বেশ গোপন করে রাখেন এই যুগল।
১৯৭৮ সালে ‘গাঙ্গা কি সুগান্ধ’ সিনেমার সেটে রেখার সাথে সহশিল্পীর খারাপ ব্যবহার মেনে নিতে না পেরে শ’খানেক লোকের সামনেই সেই রেগে যান অমিতাভ। হতভম্ব হয়ে যায় পুরো সেটে উপস্থিত সবাই। অমিতাভের এরকম আচরণে বলিউডে সন্দেহের পাল্লা ভারি হতে থাকে। কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের হয়ে আসার মতো করেই অনেকেই বান্ধবীর বাড়িতে অমিতাভ রেখার গোপন অভিসারের কথা জেনে ফেলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে অভিনেতা ভিনোদ মেহরার সাথে রেখার বিয়ের খবর শোনা গেলেও পরবর্তীতে সিমি গারেওয়ালের অনুষ্ঠানে রেখা ভিনোদকে কেবল একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরিচয় করেন দেন মিডিয়ার সামনে। এদিকে অমিতাভ বচ্চন একই বছর জুলাই মাসে জয়া ভাদুরির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এদিকে বলিউডের বাতাসে ভেসে বেড়াতে থাকে যে অমিতাভ বচ্চন আর রেখা গোপনের বিয়ের কাজটি সেরে ফেলেছেন। যদিও অনেকে একে কেবল গুজব বলেই উড়িয়ে দেন। কিন্তু সত্য সকলের সামনে প্রকাশিত হয় নিতু সিং আর ঋষি কাপুরের বিয়ে অনুষ্ঠানে। এই বিয়ের অনুষ্ঠানে রেখাকে মাথায় সিঁদুর লাগান অবস্থায় দেখা যায় যদিও প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রেখা অবিবাহিত। রেখার মাথায় বিবাহিত নারীর চিহ্ন এবং গলায় মঙ্গলসূত্র সকলকে এক ধাঁধায় ফেলে দেয়।
এদিকে অমিতাভের সাথে গোপনে বিয়ের গুঞ্জনটিও সত্যরূপে সকলের সামনে আসতে শুরু করে। এমন খবরও শোনা যায় যে, সেদিনের পর রেখাকে নিজের বাড়িতে দাওয়াত করেন জয়া বচ্চন এবং তাকে বলেন 'যত কিছুই হোক আমি আমার স্বামীকে ছেড়ে যাব না। কাজেই ভালো হয় যদি তুমি এই সম্পর্ক থেকে পিছপা হও'।
এই ঘটনার পর অমিতাভের সাথে সম্পর্কের কথা ঢালাও করে প্রচার থেকে বিরত থাকেন রেখা। এরপর ১৯৯০ সালে এই অভিনেত্রী শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। তবে বিয়ের একবছর পরেই রহস্যজনকভাবে মুকেশ আত্মহত্যা করেন। কিন্তু আজও রেখাকে সিঁদুর আর মঙ্গলসূত্র পড়তে দেখা যায়। কার নামে এই সিঁদুর ও মঙ্গলসূত্র পড়েন রেখা?
তবে বর্তমানে এই প্রেমের গল্পটি অনেকটা ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৮৪ সালে রেখা একটি সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি বলেন যে, 'অমিতাভ আসলে একটু সেকেলে, আর তাই তিনি কাউকে মনে কষ্ট দিতে চান না। তা সে তার ছেলে মেয়ে হোক আর স্ত্রী হোক'। সম্প্রতি অমিতাভের বিদেশ সফরের সঙ্গী হিসেবেও একই প্লেনের পেছনের সিটে ক্যামেরাবন্দি হন রেখা।
সবাই জেনেও না জানার মতো এক অদ্ভুত সম্পর্কের বাঁধনে বাঁধা এই তারকা জুটি। এই সম্পর্কের রহস্যের জাল ভেদ করে আসল ঘটনা নিশ্চিতভাবে জানতে পারেননি কেউই। সত্যিই তাদের মাঝে সম্পর্কটি কেমন সেটা জানেন শুধু তাঁরাই।
সূত্র উইকিপিডিয়া, ইয়াহু লাইফস্টাইল,মেন্সক্সপি,গ্ল্যামসেম

0 comments: