রোমান্টিকধাঁচের
সিনেমাগুলো আমাদের বরাবরই খুব টানে। এর কারণ এই
সব সিনেমার গল্পেরসাথে নিজের জীবনের গল্পের মিল খুঁজে পাওয়া যায় অথবা আবেগআমাদের
সে দিকেটেনে
নেয়। কারণ যাই হোক না কেন, রোমান্টিক সিনেমার আনন্দ-বেদনা আমাদেরস্পর্শ
করে। সিনেমা দেখেই ফেলে দেই না অনুভূতিগুলো, আমরা সেইগুলো
বহন করি।আর কিছুটা
রোমাঞ্চিতও হই। গত পঁচিশ বছরে বলিউডের আলোচিত রোমান্টিক
সিনেমারএই
সাতটির সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন আপনার পছন্দের মিল পড়ে কিনা!
১। দিল সে:
মনি
রত্নম মানেই ভিন্ন কিছু। গুণী এই
নির্মাতা কখনো হতাশ করেন নি। কিংখান শাহরুখের
ক্যারিয়ারে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা। ১৯৯৮ সালে
মুক্তিপাওয়া
‘দিল
সে’ তে
শাহরুখ অভিনয় করেন অমর কান্ত ভার্মার চরিত্রে, যিনি অলইন্ডিয়া
রেডিও’র
প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ। চাকরির খাতিরে কাশ্মীরে যান। আরপথে বৃষ্টিমুখর রাতে দেখা হয় অসম্ভব সুন্দরী ‘মেঘনা’
চরিত্রের
মনীষাকৈরালা’র সাথে। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যান শাহরুখ। তারপর
আবার দেখা হয়তাদের। কথা হয়। সম্পর্কটা
যখন একটা প্রান্তে এসে দাঁড়াবে তখনই জানা যায়মনীষা আসলে টেরোরিস্ট দলের সদস্য। মনি রত্নম দৃশ্য বেছে নিয়েছেন অসাধারণ।শাহরুখ, মনীষা দিয়েছেন সর্বোচ্চ ভালো কাজ। আর
সংগীতে এ. আর. রহমানদুর্দান্ত।
২। জাব উই মেট:
নির্মাতা
ইমতিয়াজ আলির রচনা ও পরিচালনার এই সিনামাটি অপ্রত্যাশিত সাড়াফেলে দেয়। বিশেষ করে এর গল্পটা দর্শকদের আকর্ষণ করে প্রচণ্ডভাবে। এ ছাড়াশহীদ, কারিনার রসায়নও দারুন ভাবে প্রভাবিত করেছিলো। পিতার মৃত্যুর পর শহীদসব কিছু ছেড়ে মন খারাপ নিয়ে রাস্তায়
বেরিয়ে পড়ে। পথে দেখা হয় কারিনার সাথে, তারপর এক
এ্যাডভেঞ্চার। হাসি-কান্না। ২০০৭
সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
৩। সাথিয়া:
রানী
মুখার্জি ও বিবেক অবেরয় অভিনীত সাথিয়া সিনেমাটি নির্মান করতেনির্মাতা সাদ
আলিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। নির্মান শেষে
ছবি মুক্তির পরপড়তে হয়েছিলো শাহরুখের তোপে। অতিথি
চরিত্রে শাহরুখের উপস্থিতি ছিলো, শাহরুখের সম্মানি দেয় নি বলে শাহরুখ
দর্শকদের অনুরোধ করেন সিনেমাটিকেপ্রত্যাখান করার জন্য। তবে সিনেমার গল্প বলার ধরণ, রানীর গ্ল্যামারসদর্শকদের
টেনে নিয়ে যায় সিনেমা হলে। রানী দুর্ঘটনায়
পড়লে তাকে হাসপাতালেভর্তি করা হয় অন্য নামে। এদিকে বিবেক
রানীকে নানা জায়গায় খুঁজতে থাকে আরফ্ল্যাশবাকে চলে তাদের প্রেমের গল্প। সিনেমাটা না দেখে থাকলে দেখে নিতেপারেন।
৪। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে:
এই
সিনেমা নিয়ে বলার তেমন কিছু নাই। এতো সাড়া
জাগানো এই সিনেমা! বলিউডেরইতিহাস সৃষ্টিকারী এই সিনেমার নির্মাতা আদিত্য চোপড়া। ইয়াসরাজ ফিল্মসেরব্যানারে শাহরুখ-কাজল জুটির দুর্দান্ত
প্রেমের সিনেমা এটি। ১৯৯৫ মুক্তির পরদর্শকরা এই
সিনেমাটিকে লুফে নেয়। সবচেয়ে বেশি প্রদর্শিত সিনেমার তকমাওজুটেছে
এর। রাজ মালহোত্রা আর শিমরান সিং-এর মিষ্টি প্রেমের সিনেমাটিররিমেকের
ঘোষণা দিয়েছেন আদিত্য চোপড়া।
৫। কুছ কুছ হোতা হে:
ত্রিভুজ
প্রেমের কাহিনী-নির্ভর এই সিনেমার পরিচালনায় ছিলেন তরুণজনপ্রিয়
পরিচালক করন জোহর। মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন শাহরুখ খান,
কাজল,
রানী
মুখার্জি, অনুপম
খের প্রমুখ। বলিউডে ছবিটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা
অর্জনকরে। রাহুল ও অঞ্জলি কলেজের সহপাঠী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রাহুল কলেজে নবাগতটিনার প্রেমে পড়ে। অঞ্জলি
এতোদিন রাহুলকে বন্ধু হিসাবে দেখলেও এখন উপলব্ধিকরে সেও রাহুলকে ভালোবাসে। অঞ্জলি কলেজ ছেড়ে চলে যায়। রাহুল
ও টিনারবিয়ে
হলেও সন্তান জন্ম দেয়ার সময় টিনা মারা যায়। তাদের
কন্যা সন্তানটিরনাম রাখা হয় অঞ্জলি। আট বছর পর
মায়ের লেখা চিঠি থেকে অঞ্জলি সব জানতেপেরে রাহুল ও অঞ্জলি (কাজল) এর
পুনর্মিলন ঘটাবার চেষ্টা করে।
৬। বীর জারা:
২০০৪
সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন যশ চোপড়া। ছবিরপ্রধান
তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান, প্রীতি জিন্তা ও রাণীমুখার্জী।এছাড়াও কিছু গুরুপ্তপুর্ণ
চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিরণ খের, দিভ্যা দত্ত ও অনুপম খের এবং দুটি অতিথি
চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভবচ্চন ও হেমা মালিনী। ভারতীয়
এয়ারফোর্সের বীর ও পাকিস্তানী জারার প্রেমেরগল্পের সাথে ভারত-পাকিস্তানের
বিরোধের বিষয়টিও উঠে এসেছে সিনেমাতে।
৭। কাহো না পেয়ার হে:
২০০০
সালে এই সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে হৃত্বিক ও আমিশার।দুর্দান্ত প্রেমের সিনেমাটি তখন বেশ সাড়া ফেলেছিল। রোহিত-সোনিয়া-রাজেরত্রিমাত্রিক প্রেমের গল্প। যেখানে রোহিত ও রাজের ভূমিকায় হৃত্বিকই ছিলো।
0 comments: