ঈদে মুক্তি পাওয়া নায়িকা ববি অভিনীত ছবি "আই ডোন্ট কেয়ার" নিয়ে
সমালোচনা তুঙ্গে। কেন? কারণ ছবিটির অশ্লীল পোস্টার নিয়ে প্রথমেই শুরু হয় বিতর্ক। সেই সমালোচনা থেকে গা বাঁচাতেই যেন ববি দাবী করেন যে তিনি
জানতেন না এমন পোস্টার তৈরি
হবে। তাঁকে ধোঁকা দিয়ে চিত্র গ্রহন করা হয় ইত্যাদি। সেই কাহিনীতে এবার এলো নতুন মোড়। পরিচালকের দাবী ববি সব
জেনেশুনেই কাজটা করেছেন!
পরিচালক
মোহাম্মদ হোসেন ঈদের ছবি ‘আই ডোন্ট
কেয়ার’ নিয়ে চিত্রনায়িকা ববির ভিডিও বার্তায় উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ছবির। গণমাধ্যমে পাঠানো এক
লিখিত বিবৃতিতে মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ববির ভিডিও
বার্তা পড়ে আমি বিস্মিত, মর্মাহত।
তিনি বলেন, আমি বলতে চাই, ‘আই ডোন্ট
কেয়ার’ একটি বাণিজ্যিক ছবি। আমি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যতটা আধুনিক নির্মাণ করা যায়
সেই চেষ্টা করেছি। এ ছবির মুদ্রিত
পোস্টার-এর ডিজাইন সেন্সরবোর্ড অনুমোদিত। ঢাকাসহ দেশের যেসব শহরের প্রেক্ষাগৃহে ‘আই ডোন্ট
কেয়ার’ ছবিটির প্রদশর্নী চলছে সবখানেই
এর পোস্টার রয়েছে। যে কেউ এটা যাচাই করে নিতে
পারেন।
মোহাম্মদ
হোসেন বলেন, যেহেতু সেন্সরবোর্ড একটি
জুডিশিয়াল বোর্ড, সেহেতু এই বোর্ডের অনুমোদনের পর পোস্টার নিয়ে আলোচনা করা অনুচিত বলে আমি মনে করি। এ ছবির নায়িকা ববি ফেসবুক বার্তায় যে অভিযোগ করেছেন, আমি তা প্রত্যাখ্যান করে স্পষ্ট
ভাষায় বলতে চাই, নায়িকা ববি
সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করে প্রকারান্তরে
মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বলেন, ছবির শুটিং
শুরুর আগেই তিনি এ ছবির গল্প
শুনেছেন। গ্রামের পুকুরে শহরের একজন আধুনিকার সাঁতার কাটতে নামার দৃশ্যটি জেনে তিনি প্রস্তাব দেন দেশে দৃশ্যটি চিত্রায়ণ না করে বিদেশে করতে।
তিনি বলেন, কোনোক্রমেই যেন এটা দেশের গ্রামের পুকুর ছাড়া থাইল্যান্ডের পুকুর মনে না হয়, সে জন্য খুব
কাছ থেকে দৃশ্যটি ধারণ করা হয়। ফলে সৈকতে লং শট নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বরং ববি সাঁতার না জানায়
ইউনিটের দুজন সদস্য তাকে সহায়তা করেছেন। মোহাম্মদ
হোসেন বলেন, সেই দৃশ্যটির যে কয়টি শট ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছে, তার সবই
চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত। তিনি বলেন, আমার মনে হয় ববি বিশেষ কাউকে
খুশি করার জন্য এহেন মিথ্যাচার করেছেন, যা করা তার
উচিত হয়নি।

0 comments: