লাক্সতারকা মেহজাবীন চৌধুরী ত্রিমুখী সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন। সঙ্কটগুলো হচ্ছে একের পর এক চলচ্চিত্র হাতছাড়া হওয়া, অভিনয়ে সীমাবদ্ধতা ও ভাষাগত সমস্যা। অনেক দিন ধরে এগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও কিছুতেই যেন পরিত্রাণ পাচ্ছেন না। যে স্বপ্ন নিয়ে তিনি মিডিয়ায় পথচলা শুরু করেছিলেন, এসব সঙ্কটের কারণে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
মেহজাবীন প্রমিত বাংলা ভাষা ছাড়া আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারেন না। এ কারণে শহুরে গল্প ছাড়া অন্য কোনো নাটক কিংবা টেলিছবির প্রস্তাব এলে তা তাকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মেহজাবীন বলেন, 'আমি কখনো গ্রামের নাটকে অভিনয় করিনি। এ ধরনের নাটকে অভিনয় করতেও পারি না। সত্যি কথা বলতে কি, দীর্ঘদিনেও আমি আঞ্চলিক ভাষা রপ্ত করতে পারিনি। তাই গ্রাম্য মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে পারছি না।'
অভিনয়ের ক্ষেত্রেও মেহজাবীনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ধারাবাহিকে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না তিনি। তাই শুধু খণ্ড নাটক-টেলিছবিতেই অভিনয় করছেন। এ কারণে টিভি পর্দায় তাকে খুব কম দেখা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মেহজাবীনের ভাষ্য_ 'দীর্ঘ ধারাবাহিকে অভিনয় করতে আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগে। তাই ধারাবাহিক নাটক এড়িয়ে চলছি। বর্তমানে আমি শুধু খণ্ড নাটক-টেলিছবি নিয়েই ব্যস্ত আছি।'
তিনি আরো বলেন, 'একক নাটক বা টেলিছবিতে প্রতিদিন নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছি। ধারাবাহিকে সে সুযোগটা নেই। এ ক্ষেত্রে একটা চরিত্রেই দীর্ঘদিন অভিনয় করতে হয়। একসময় এসে আসল গল্পটা পানসে হয়ে যায়। তা ছাড়া অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের কারণে দর্শকরাও ধারাবাহিক নাটক নিয়মিত দেখেন না। তবে বিশেষ দিবস উপলক্ষে প্রচারিত খ- নাটক-টেলিছবিগুলো দর্শকরা কিছুটা হলেও দেখে থাকেন।'
এদিকে, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার প্রত্যাশা করছিলেন মেহজাবীন। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও ভাগ্যলক্ষ্মী তার সহায় হচ্ছে না। ইতোমধ্যে বেশ কটি ছবি তার হাতছাড়া হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কয়েকটি ছবি হাতছাড়া হওয়ার পর 'পরবাসিনী'-তে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু অনেক আগে শুটিং শেষ করলেও ছবিটি এখনো মুক্তির আলো দেখেনি। অন্যদিকে 'ডুবোশহর' ছবিতে অভিনয় করার কথা থাকলেও এর শুটিংয়ের তারিখ বার বার পেছানো হচ্ছে। এসব নিয়ে আমি অনেকটা হতাশার মধ্যেই রয়েছি।"

0 comments: