Sunday, 20 March 2016

গুণী অভিনেত্রী দিতি আর নেই


গুণী অভিনেত্রী দিতি আর নেই। আজ রোববার বিকাল চারটা পাঁচ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি...ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মস্তিষ্কে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন। এর আগে মাদ্রাজের এমআইটি হাসপাতাল থেকেও চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। গত বছরের ২৫ জুলাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজিতে (এমআইওটি)তে ভর্তি করা হয়। সেখানে মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়লে ২৯ জুলাই দিতির মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর বেশ কয়েকবার চেন্নাই যান চিকিৎসার জন্য। সর্বশেষ মাস তিনেক আগে চেন্নাইয়ের ডাক্তাররা অপারগতা প্রকাশ করে দিতিকে ঢাকায় ফেরত পাঠান। ঢাকায় ফিরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবশেষে ২০ মার্চ রবিবার বিকেল চারটা পাঁচ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দিতি ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের নতুন মুখ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। তবে ছবিটি মুক্তি না পাওয়ায় তাঁর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল আজমল হুদা মিঠু পরিচালিত ‘আমিই ওস্তাদ’। এরপর অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম নির্ভরযোগ্য নায়িকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকাকালীন তিনি সহ-শিল্পী সোহেল চৌধুরীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। এরপর সোহেল চৌধুরীর মৃত্যুর পর দিতি আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিয়ে করেন। কিন্তু তাঁদেরও বিচ্ছেদ হয়। দুই সন্তান দীপ্ত ও লামিয়াকে নিয়েই ছিল দিতির সংসার। দিতি তাঁর অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। দিতি অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো-হীরামতি, দুই জীবন, ভাই বন্ধু, উছিলা, লেডি ইন্সপেক্টর, খুনের বদলা, আজকের হাঙ্গামা, স্নেহের প্রতিদান (১৯৯৯), শেষ উপহার, চরম আঘাত, স্বামী-স্ত্রী, অপরাধী, কালিয়া, কাল সকালে(২০০৫, মেঘের কোলে রোদ (২০০৮), আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮), মুক্তি (২০১৪), কঠিন প্রতিশোধ (২০১৪), তবুও ভালোবাসি (২০১৩), পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩), হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ (২০১১), মাটির ঠিকানা (২০১১), নয় নম্বর বিপদ সংকেত (২০০৭) দূর্জয় (১৯৯৬) সুইট হার্ট, ধূমকেতু (নির্মানাধীন)। তিনি অসংখ্য নাটক টেলিফিল্মেও অভিনয় করেন। নাটক পরিচালনার সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। 

SHARE THIS

Author:

Facebook Comment

0 comments: